গ্রন্থকারের নাম ড. মোহাম্মাদ বেলাল হোসেন
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৫৫০
আাইএসবিএন ৯৭৮৯৮৪৯৫৭২৯১৬
দাম ৪০০ টাকা
গ্রন্থ পরিচিতি
আল-কুরআন জ্ঞান-বিজ্ঞানের মূল ও প্রধান উৎস। এটি আরবী ভাষায় অবতীর্ণ । এতে আরবী অলংকার বিজ্ঞানের সৌকর্য রীতি ও পদ্ধতি প্রযুক্ত হয়েছে। এ মহাগ্রন্থে অনেক স্বল্প প্রচলিত ও রূপকার্থবোধক শব্দ ও বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে, যা সাধারণভাবে বোধগম্য নয়; বরং এগুলো অনুধাবনের জন্য ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের অতীব প্রয়োজন। এ ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণকে তাফসীর বলা হয়।
আরবী জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় তাফসীর শব্দটি আল-কুরআনের বাণী হৃদয়ঙ্গম করার ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। ইসলামের প্রাথমিক যুগ থেকে তাফসীর বর্ণনার প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভূত হয়। সাহাবীগণ কোন আয়াতের শাব্দিক বিশ্লেষণ এবং ভাব উদঘাটনে সক্ষম না হলে তাঁরা রাসূল সা.-এর শরণাপন্ন হতেন। তিনি তাঁদেরকে আল-কুরআন সম্পর্কিত তাঁদের উপস্থাপিত বিষয়গুলো সুষ্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিতেন। ফলে তাঁরা সহজেই সংশ্লিষ্ট আয়াতের মর্ম অনুধাবনে সক্ষম হতেন।
এভাবে নবীযুগে তাফসীর অভিজ্ঞানের গোড়াপত্তন হয়। রাসূল সা.-এর ইন্তিকালের পর সাহাবী, তাবিঈ ও তাবি-তাবিঈনের যুগে এ অভিজ্ঞান বিকশিত হয় সম্প্রসারিত হয় এর দিগন্ত। পরবর্তীকালে এটি পূর্ণ শাস্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সূচনাকাল থেকে অদ্যাবধি আল-কুরআনকে ঘিরে অসংখ্য বিদগ্ধ পণ্ডিত তাফসীর গ্রন্থ রচনা করেছেন।
এ সমস্ত মনীষী ও তাঁদের রচিত তাফসীরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ভাষায় অনেকেই অসংখ্য গ্রন্থ প্রণয়ন করে এ অভিজ্ঞানকে করেছেন সমৃদ্ধ । এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখ্যযোগ্য মুফাসসিরদের জীবনী ও তাঁদের রচিত তাফসীর পর্যালোচনা বিষয়ে বাংলা ভাষায় এ বক্ষমান গ্রন্থটি অনন্য ও অসাধারণ ।